নিজস্ব প্রতিবেদক, ঈদগাঁও ::
জেলা সদরের বৃহৎ বানিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারসহ পাশ্বর্বতী এলাকায় কোচিং বানিজ্য থেমে নেই। এটি যেন খন্ডকালীনদের যৌথ নৈশ খামারে পরিনত করে তুলছে। এতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করার জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, ঈদগাঁও বাজার, বাসষ্টেশনসহ পাশ্বর্বতী বিভিন্ন ভাড়া বাসায় দেদারছে চলছে কোচিং। এমনকি অসংখ্য শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের নামে সাম্প্রতিক সময়ে গড়ে ওঠেছে হরেক রকম নামের কোচিং বানিজ্যে। সকাল বা বিকাল কোচিং সেন্টার গুলোতে শিক্ষার্থীদের ভীড় যেন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।প্রতিদিন সকাল বেলায় স্কুল শুরুর পূর্বেই কোচিং শেষ করেই স্কুলমুখী হচ্ছে অনেক শিক্ষার্থী। আসলেই কোচিং সেন্টারগুলো বর্তমানে ছোট্র স্কুলে পরিনত হয়ে পড়েছে। আবার,ঈদগাঁওতে বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজ পড়ুয়া অসংখ্য শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্টানের নির্ধারিত ক্লাস শেষে ছুটির পরে বা আগে কোচিং সেন্টারমুখী হতে দেখা যায়। অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের শিক্ষাদানকে গুরুত্ব না দিয়ে,কোচিং সেন্টারকে বেশিভাগই প্রাধান্য দিচ্ছে। আবার হরেক রকম সুবিধা সম্বলিত লিপলেট ও ছাড়ছে কথিত কোচিং সেন্টার কতৃপক্ষ। তাতে উন্নত পরিবেশে লেখাপড়ার স্বপ্ন নিয়ে প্রাইভেটমুখী হচ্ছে এখানকার অনেকে। তবে সচেতন অভিভাবক মহলের মতে,ছেলেমেয়েরা যদি প্রতিদিন স্কুলমুখী হয়ে দৈনিক বিদ্যালয়ের পড়া বিদ্যালয়ে আদায় করতো, তাহলে ভালমানের পড়ালেখার স্বার্থে আর কোচিং সেন্টারমুখী হতে হতনা। তাতেই গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এমনিতে দক্ষ ও আর্দশবান একজন ভাল ও মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচিতি লাভ করত পারতো অনায়াসে। বর্তমান সমাজে স্কুলের বিপরীত হয়ে মিনি বিদ্যালয়ে পরিনত করে তুলছে কোচিং সেন্টার। এ ব্যাপারে এলাকার অভিজ্ঞজন কোচিং সেন্টার বন্ধের জোরদাবী জানান সংশ্লিষ্ট উদ্বর্তন কতৃপক্ষের নিকট। কোচিংয়ের ফলে শিক্ষার মান কমে যাচ্ছে। কোচিং সেন্টার নামে বানিজ্যে বন্ধ এখন সময়ের গনদাবীতে পরিনত হয়ে পড়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈষম্য হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট মুখী করা হচ্ছে। অসহায় পরিবারের সন্তানরা ভালমানের লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অচিরেই কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হোক। এছাড়াও ঈদগাঁওতে ছড়িয়ে ছিড়িয়ে থাকা কোচিং সেন্টারগুলোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন এলাকাবাসী। কোচিং সেন্টার পরিচালক দের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
পাঠকের মতামত: